জীবন সঙ্গী হিসেবে যে আপনার জন্য পারফেক্ট
মুখে ভালোবাসি বলে, ঘোরাঘুরি-শপিং-খাওয়া দাওয়া-ঘন্টার
পর ঘন্টা ফোনে আলাপ করলেই প্রেমের সম্পর্ক ‘পারফেক্ট’ হয়ে যায় না । সম্পর্কের শুরুতে
যাকে মনে হয় ‘এই আসল জান’ কয়েক মাস গেলেই মনে হতে থাকে না এ ব্যক্তি সে নয় যাকে আমি খুজছি । তাহলে ভালোবাসবেনই বা কাকে? আসলে ‘পারফেক্ট’
বলে কোনো বিষয় নেই । ভালোমন্দ মিলিয়েই মানুষ। তারপরও কিছু বিষয় খেয়াল করে সম্পর্ক শুরু
করলে সেটা টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।সম্পর্ক বিষয় একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়,
কাউকে ভালোবাসতে হলে আগে দেখুন সে আপনাকে আসলেই ভালোবাসে কিনা । আর তা বোঝার জন্য রয়েছে
কিছু বিষয় ।
আপনার যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেবে। সে চাকরির ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে । যেকোনো কাজে যেন ভালো হয় সেটার জন্য সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে । আর যখন কাজটা হয়ে যাবে সেই সবচেয়ে বেশি খুশি হবে হতে পারে কোনো বোর্ড গেইম খেলার সময় সেই আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী । তবে সে সময় চাইবে আপনি জয়লাভ করুন ।
কিছু মানুষ আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে । তবে যে আপনার মধ্যে কোনো প্রকার খারাপ বোধ তৈরি না করে আপনার আবেগ বুঝে ‘স্পেস’ দেবে বুঝতে হবে সে আপনাকে আসলেই ছাড় দিচ্ছে । একইভাবে তাকেও আপনার ছাড় দিতে হবে । ফলে যখন আবার দুজন একসঙ্গে থাকবেন তখন আরও বেশি দুজন অন্তরঙ্গ হতে পারবেন । আর এরকম মানুষকে ভালোবাসতে দ্বিধা করবেন না ।
শারীরিক সম্পর্কই সব নয় । তারপরও এটা একটা বিষয় । যদি দেখেন বিশেষ সময়ে আপনি অন্য কাউকে
নয়, তার কাছ থেকেই সমস্ত আকর্ষণ পেতে চাচ্ছেন ।
সেও সেটা অনুভব করছে তবে তাকে দূরে রাখার কোনো মানে হয় না ।
আপস করাঃ
সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকবেই । আর সেগুলো আলোচনা করে ছাড় দিয়ে ঠিক করাও যায় । ভালোবাসার
সম্পর্কে দুজন দুজনের ক্ষেত্রে আপস করতে হবে । আপস বিহীন সম্পর্ক সামনের দিকে যেতে
পারে না ।
সে আপনাকে মেলে ধরবেঃ
যদি সে আপনাকে সবার সামনে ছোট করে বা আপনাকে বোকা বানিয়ে মজা পায় তবে সে আপনার জন্য
নয় ।মাঝে মধ্যে মজা যে অন্য বিষয় ।তবে সে যদি আপনার মধ্যে যে কোনো বিষয়ে ‘আত্নবিশ্বাস’
তৈরি করে বা আশেপাশে থেকে আপনার মধ্যে উন্নত ভাব তৈরি করতে পারে ।তাহলে তাকে সঙ্গী
হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে নাঃ
যে সম্পর্কের শুরুতেই আপনার কিছু বিষয় বদলাতে বলবে সে আসলে কখনও আপনাকে ভালোবাসবে না
। আপনার বন্ধু কে হবে, কী পোশাক পরবেন ।কোনো শখের বিষয় ছাড়তে বললে বা যে কাজ করতে ভালো
লাগে সেটা তার ভালো লাগে না বলে ছাড়তে বললে বুঝতে হবে সে আপনার জন্য নয় । তাকেই ভালোবাসুন
যে আপনাকে পরিবর্তন করে নয় বরং আপনি যা সেভাবেই আপনাকে চায় ।
উৎসাহদাতাঃ
আপনার যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেবে। সে চাকরির ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে । যেকোনো কাজে যেন ভালো হয় সেটার জন্য সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে । আর যখন কাজটা হয়ে যাবে সেই সবচেয়ে বেশি খুশি হবে হতে পারে কোনো বোর্ড গেইম খেলার সময় সেই আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী । তবে সে সময় চাইবে আপনি জয়লাভ করুন ।
প্রশংসা করাঃ
সে যদি ভালো নৃত্য করে, ভালো গান করে, শিল্পসাহিত্য সম্পর্কে অনেক জ্ঞান থাকে বা কোনো
গুন আপনাকে মুগ্ধ করে ।
যেটাই হোক না কেনো তার যে কোনো বিষয়ে প্রশংনা করবেন । এ রকম হলে সেই আপনার ভালোবাসার
মানুষ ।
ছাড় দেয়াঃ
কিছু মানুষ আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে । তবে যে আপনার মধ্যে কোনো প্রকার খারাপ বোধ তৈরি না করে আপনার আবেগ বুঝে ‘স্পেস’ দেবে বুঝতে হবে সে আপনাকে আসলেই ছাড় দিচ্ছে । একইভাবে তাকেও আপনার ছাড় দিতে হবে । ফলে যখন আবার দুজন একসঙ্গে থাকবেন তখন আরও বেশি দুজন অন্তরঙ্গ হতে পারবেন । আর এরকম মানুষকে ভালোবাসতে দ্বিধা করবেন না ।
সরাসরি প্রকাশঃ
অনেক ভালো সম্পর্কের মধ্যে কিছু বিষয় খারপ লাগতেই পারে। আর সেসব বিষয় নিয়ে যদি সঙ্গীর
সঙ্গে আলাপ করেত কোনো দ্বিধা বোধ না করেন তবেই সেই আপনার জন্য ভালোবাসর মানুষ । একইভাবে
সেও আপনাকে কোনো বিষয় নিয়ে অভিযোগ করতে পারে, আর বিস্ময়কর হলেও সত্যি সেটা শুনে আপনার
খারাপ লাগবে না বরং নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করবেন । তাই দেরি না করে এই মানুষকেই ভালোবাসুন
।
হাসাতে সাহায্য করবেঃ
হাসতে কে না চায় । তবে যে মানুষটা আপনার মুখে হাসি ফোটাবে সে আবশ্যই একজন ভালোবাসার
মানুষ হতে পারে । মানুষের জীবনে অনেক ঝামেলা আসে । আর সে রকম সময়ে যদি সে আপনার মুখে
হাসি ফুটিয়ে পৃথিবীটাকে উজ্জ্বল করে দেয় । তবে সেই মানুষকে ভালোবাসাই যায় ।
সে আপনার জন্য করেঃ
আপস করাঃ
No comments