ডিপ্রেশন ও তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
ডিপ্রেশন (Depression) শব্দটির
মানে দাঁড়ায় বিষণ্নতা বা মনমরা । ডিপ্রেশন একটি মানসিক রোগ যা নিরানন্দ, অপরাধবোধ,
ঘুমের অসুবিধা বা ক্ষুধার সমস্যা, কমশক্তি, দুর্বল মনোযোগ ও কৌতূহল হারিয়ে ফেলার একটি
ক্রমাগত অনুভূতি ঘটায় । একে মেজের ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার বা ক্লিনিকাল বিষণ্নতাও বলা
হয় । কেউ যেভাবে অনুভব করে, চিন্তা করে এবং আচরণ করে ডিপ্রেশন সেই প্রক্রিয়াকে নাড়া
দেয় । বিভিন্ন মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা ঘটাতে পারে । এতে এ কারো দৈনন্দিন স্বাভাবিক
কাজের অসুবিধা হতে পারে । মাঝেমাঝে যে কারো
মনে হতে পারে জীবনে বেঁচে থাকার যেন সার্থকতা নেই । ডিপ্রেশন বিমর্ষ বা দুঃখ বোধ থেকে
ভিন্ন হয়ে থাকে । নিরানন্দ হচ্ছে এমন কিছু যা প্রত্যেকে সাধারণভাবে একটি নির্দিষ্ট
কারণে একসময়ে অথবা অন্যসময়ে উপলদ্ধি করে । যে ব্যক্তি ডিপ্রেশনে ভোগেন তিনি দুশ্চিন্তা,
আশাহীনতা, নেতিবাচকতা, অক্ষমতার তীব্র আবেগ বা অনুভূতির অভিজ্ঞতা লাভ করবেন । এই অনুভূতি গুলো চলে যাওয়ার পরিবর্তে তাদের সাথে থেকে
যায় ।
লক্ষণঃ
আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান হারিয়ে ফেলা, জেদি, বিষণ্ণতায় সবসময় ভোগা, ক্লান্তি ও শক্তিক্ষয়, মনোযোগের অসুবিধা, সবসময় উদ্বিগ্ন বোধ করা, অন্যকে এড়িয়ে চলা মাঝেমধ্যে নিজের নিকটস্থবন্ধুও আশাহীন ও অসহয়ত্ব বোধকরা । ঘুমের সমস্যা, অপরাধবোধ, নিজেকে অযোগ্য মনে করা, বিরক্তি বোধ, চাপল্য, যে কোন কাজ কঠিন মনে করা, আত্মহত্যা ও মৃত্যু নিয়ে চিন্তা করা, শারীরিক যন্ত্রণা ও ব্যথা বোধ করা, যৌনসমস্যা, ক্ষুধামন্দ, মাথাব্যাথা, হজমের সমস্যা ইত্যাদি ডিপ্রেশন বিশিষ্ট রোগীর মধ্যে দেখা যায় ।
প্রকারভেদঃ
বিভিন্ন ধরনের Deperssive রোগ আছে-
মেজর ডিপ্রেশন- একজন ব্যক্তির জীবদ্দশায় শুধুমাত্র একবার ঘটতে পারে । কিন্তু বেশির ভাগক্ষেত্রে বা প্রায় একজন ব্যক্তির কয়েকটা পর্ব থাকতে পারে । পারসিসটেন্ট ডিপ্রেশন ডিসঅর্ডার- বিষণ্ন মেজাজ যা কমপক্ষে ২ বছর স্থায়ী হয় । কিছু ধরনের ডিপ্রেশনের আছে যা সামন্য ভিন্ন ।
সেগুলো হলো: সাইকোটিক ডিপ্রেশন(মানসিকবিষণ্নতা), পোষ্ট-পারটাম ডিপ্রেশন(প্রসবেরবিষণ্নতা), সীজনাল অ্যাফেকটিভ ডিসঅর্ডার(ঋতু আবেগ পূর্ণ ব্যাধি) । এছাড়াও রয়েছে বাইপোলার ডিসঅর্ডার ।
বিভিন্ন ধরনের Deperssive রোগ আছে-
মেজর ডিপ্রেশন- একজন ব্যক্তির জীবদ্দশায় শুধুমাত্র একবার ঘটতে পারে । কিন্তু বেশির ভাগক্ষেত্রে বা প্রায় একজন ব্যক্তির কয়েকটা পর্ব থাকতে পারে । পারসিসটেন্ট ডিপ্রেশন ডিসঅর্ডার- বিষণ্ন মেজাজ যা কমপক্ষে ২ বছর স্থায়ী হয় । কিছু ধরনের ডিপ্রেশনের আছে যা সামন্য ভিন্ন ।
সেগুলো হলো: সাইকোটিক ডিপ্রেশন(মানসিকবিষণ্নতা), পোষ্ট-পারটাম ডিপ্রেশন(প্রসবেরবিষণ্নতা), সীজনাল অ্যাফেকটিভ ডিসঅর্ডার(ঋতু আবেগ পূর্ণ ব্যাধি) । এছাড়াও রয়েছে বাইপোলার ডিসঅর্ডার ।
চিকিৎসাঃ
বিষণ্নতার চিকিৎসার জন্য অব্যশই প্রথমে একজন ভালো অভিজ্ঞ Psychiatrist (MD) বা Psychologist (MA/PHD) এর শরনাপন্ন হতে হবে । বিষণ্নতার সবচেয়ে সাধারণ চিকিৎসার মধ্যে আছে ঔষধ এবং মনঃসমীক্ষণ (Psychotherapy) । ঔষধের মধ্যে আছে Antidepressants । পাশাপাশি Electroconvulsive therapy and other brain stimulation therapies . একবার রোগ নিরুপনের পর ডিপ্রেশন বিশিষ্ট ব্যক্তির বহু উপায়ে চিকিৎসা করা যায় । চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়ার পর প্রেসক্রাইব করা ঔষধের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন ।
বিষণ্নতার চিকিৎসার জন্য অব্যশই প্রথমে একজন ভালো অভিজ্ঞ Psychiatrist (MD) বা Psychologist (MA/PHD) এর শরনাপন্ন হতে হবে । বিষণ্নতার সবচেয়ে সাধারণ চিকিৎসার মধ্যে আছে ঔষধ এবং মনঃসমীক্ষণ (Psychotherapy) । ঔষধের মধ্যে আছে Antidepressants । পাশাপাশি Electroconvulsive therapy and other brain stimulation therapies . একবার রোগ নিরুপনের পর ডিপ্রেশন বিশিষ্ট ব্যক্তির বহু উপায়ে চিকিৎসা করা যায় । চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়ার পর প্রেসক্রাইব করা ঔষধের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন ।
আমাদের দায়িত্বঃ
প্রিয়জন বা বন্ধুকে সাহায্য করার জন্য মানসিক সমর্থন, বোঝানো, ধৈর্য ও অনুপ্রেরণা ইত্যাদি পেশ করতে পারি । ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাওয়ার ক্ষেত্রে সহয়তা প্রদান করতে পারি । প্রিয়জনের পারিবারিক ইতিহাস ও শারিরীক বা অন্য কোন মানসিক সমস্যা জানা থাকলে ডাক্তারের কাছে প্রতিবেদন করতে পারি । সাবধানতার সঙ্গে কথা বলা ও তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা । যদি সম্ভব হয় তাকে নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসার যায় ।
No comments